নাউজুবিল্লাহ! এক নির্মম বাস্তবতা আজ আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিল —
“চন্দন” নামধারী উগ্র হিন্দু যুবক একের পর এক মুসলিম তরুণীকে তার চরিত্রহীনতার জালে
আটকে নিজের বিজয়ের ট্রফির মতো ফেসবুকে প্রদর্শন করছে।
পর্দাশীল মুখোশধারী নারীরা পর্যন্ত তার
পাশে দাঁড়িয়ে হাসিমুখে ছবি তুলছে, তাকে ভালোবাসার প্রতীক পাঠাচ্ছে — কেউ কেউ আবার ইনশাআল্লাহ্
বলে সেই অনৈতিক বন্ধুত্বের জন্য আল্লাহর নাম টানছে! এটা শুধু লজ্জাহীনতা নয় — এটা ইসলামের
অপমান, মুসলিম উম্মাহর প্রতি প্রকাশ্য বিদ্রুপ!
এটা কেবল একটিমাত্র ঘটনা নয় — বরং এটা একটি সুপরিকল্পিত হিন্দুত্ববাদী চক্রান্ত, যার লক্ষ্য একটাই: মুসলিম উম্মাহকে ভেতর থেকে ধ্বংস করা!
ইনশাআল্লাহ্ বলে একজন মুসলিম নারী এমন অনৈতিক সম্পর্কে আল্লাহর ইচ্ছা কামনা করছে — এটা ইসলামের পবিত্রতাকে অপমান করার চূড়ান্ত দৃষ্টান্ত।
১. উগ্র হিন্দু চন্দনের শাস্তি:
✅ রাষ্ট্রে যদি কোনো কাফির ব্যক্তি মুসলিম নারীদের চরিত্রহীনতায় প্রলুব্ধ করে, সামাজিক ফিতনা ছড়ায়, উম্মাহর মধ্যে অনৈতিকতার বীজ বপন করে, তবে সে "فساد في الأرض" "ফাসাদ-ফি-আল-আর্দ" এর দায়ে অভিযুক্ত।
আল্লাহ বলেন: "যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়াতে ফাসাদ সৃষ্টি করে, তাদের শাস্তি কেবল এটাই যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে বা ক্রুশবিদ্ধ করা হবে বা বিপরীত দিক থেকে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে বা তাদেরকে দেশ থেকে নির্বাসিত করা হবে। দুনিয়ায় এটাই তাদের লাঞ্ছনা ও আখেরাতে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে।" (সূরা মায়েদা: ৩৩)
➡ শাস্তি:
✅ ইসলামী রাষ্ট্রে এমন ব্যক্তিকে সামাজিক ফেতনার মূল হোতা হিসেবে চিহ্নিত করে কঠিনতম দণ্ড, যেমন দেশচ্যুতি, দণ্ডবিধিতে কঠিন শাস্তি বা প্রকাশ্যে শাস্তি প্রদান করা হয়।
২. প্রকৃতপক্ষে মুসলিম নারীদের শাস্তি:
✅ যারা নিজেদের পরিচয়ে মুসলিম বলে দাবি করে, অথচ কাফিরদের সঙ্গে প্রেম, বন্ধুত্ব, ঘনিষ্ঠতা ও ভালোবাসার আদানপ্রদান করে, ইসলামের বিধানকে লঙ্ঘন করে, তাদের ইসলামি শাস্তি অত্যন্ত কঠোর।
➡ যদি প্রমাণ হয় যে তারা জেনা বা তার কাছাকাছি সম্পর্ক করেছে —
📌 বিবাহিত হলে:
মৃত্যুদণ্ড
📌 অবিবাহিত হলে: ১০০ বেত্রাঘাত (সূরা নূর: ২)
📌 তাওবা না করলে: সমাজ থেকে
বিচ্ছিন্নকরণ এবং আদালতের মাধ্যমে কঠিন শাস্তির ব্যবস্থা করা।
হে ঈমানদার নারীরা!
❌ চন্দনের মতো কাফিরদের ফ্রেন্ডলিস্টে থাকা মানে নিজের জান্নাতের তালিকা থেকে নাম কাটা!
❌ পর্দা
করে ছবিতে দাঁড়ানো যদি কাফিরের সঙ্গে হয়—তবে সে পর্দা নয়, উপহাস!
❌ ইনশাআল্লাহ্ বলার
অধিকার তাদের নেই, যারা হারাম কাজকে জায়েজ করতে চায়।
🩸 তোমরা এই উম্মাহর গর্ব! শরিয়াহ তোমাদের মর্যাদা দিয়েছে! তোমরা চন্দনের মতো কাফিরের পাশে
দাঁড়িয়ে সেই মর্যাদাকে পদদলিত করছো!
🔸 তোমার গন্তব্য জান্নাত, চন্দনের পাশে দাঁড়িয়ে নয়।
কোনো কাফের বেঈমান বিধর্মীদের পাশে দাঁড়িয়ে নয়।
🔸 হিন্দু কাফিরের “বন্ধুত্ব”
মানেই ধ্বংসের ফাঁদ!
🔸 ওরা “প্রেম” করে না—তোমার দ্বীন, ইজ্জত আর উম্মাহ ধ্বংস
করতে আসে।
🛡 সালতানাত-ই-বাংলার ঘোষণা:
"যে কাফির মুসলিম নারীদের ধ্বংসের অস্ত্র বানাবে, সে যেন জানে, আমাদের তলোয়ার শুধু অতীতে নয়—আজো তীক্ষ্ণ!"
"যে মুসলিম নারী নিজের দ্বীন ও ইজ্জতের দাম বুঝে না, সে যেন সালতানাতের সম্মানী তালিকায় থাকতে লজ্জিত হয়!"
❌ আমরা উগ্র হিন্দুদের এই ষড়যন্ত্র মেনে নেব না।
❌ ইসলামকে যারা ইনশাআল্লাহর নামে অপমান করে,
তাদের মুখোশ খুলে দেবো ইনশাআল্লাহ।
✅ দাওয়াহ, দণ্ড, বয়কট — সব অস্ত্র ব্যবহার করেই এই
ফিতনা রোধ করব।
✅ উম্মাহর সকল ভাই-বোনদের আহ্বান জানানো হচ্ছে:
বিশেষ করে হে প্রিয় মুসলিম মা ও বোনেরা!
"ইসলাম নারীর মর্যাদা দিয়েছে—কাফিরের সেলফিতে দাঁড়িয়ে তা বিসর্জন দেওয়ার নাম ইসলাম
নয়!"
ফিরে আসো, হে মুসলিম মা-বোনেরা—
দ্বীন, পর্দা ও উম্মাহকে রক্ষা করো।
এই যুগে জিহাদ কেবল তরবারি বা অস্ত্রের নয়—পাশাপাশি তথ্য, তাওবাহ ও তাওহীদের মাধ্যমে উম্মাহ রক্ষা করা জরুরি!
যারা ইনশাআল্লাহ্ বলে গুনাহের পাশে দাঁড়ায়—তারা ইসলামের নামে কুফর প্রচার করে। তারা ইসলামের অংশ নয়, বরং ইসলামের শত্রু।
সালতানাত-ই-বাংলার পক্ষ থেকে কঠোর প্রতিবাদ ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো
হলো।
ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম ও সব সামাজিক মাধ্যম থেকে এদের উৎখাত করতে
হবে।
কোনো মন্তব্য নেই।