🛑 গাজায় ইসরায়েলি তাণ্ডবের বিরুদ্ধে Saltanat-E-Banglah-এর ঘোষণাপত্র
بِسْمِ اللّٰهِ الرَّحْمٰنِ
الرَّحِيمِ
Saltanat-E-Banglah
নির্দেশ ও
ইস্তেহার
তারিখঃ ৪ আগস্ট ২০২৫ | ৯ সফর ১৪৪৭ হিজরী
হে বাংলার জনসাধারণ!
হে মুসলিম উম্মাহ!
গাজা আজ রক্তে ভেজা। দখলদার ইহুদিবাদী ইসরায়েলের হাতে ৩ আগস্ট, রবিবার শাহাদত বরণ করেছেন ১১৭ জন নিরীহ ফিলিস্তিনি মুসলমান, আহত হয়েছেন ৮৬৬ জন। এই দিনের গণহত্যা নতুন কিছু নয় — বরং ২০২৩ সালের ৭ই অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া এই অবিরাম তাণ্ডব ইতোমধ্যে শহীদ করে ফেলেছে ৬০,৮৩৯ জন ফিলিস্তিনিকে! এদের মধ্যে ১,৪৮৭ জন খাদ্য নিতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে শাহাদত বরণ করেছেন!
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, রবিবারের হত্যাযজ্ঞে শহীদদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। অবরুদ্ধ গাজায় এখনো বহু মৃতদেহ ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে আছে। উদ্ধারকর্মীরা জীবন বাজি রেখে কাজ করে যাচ্ছে, কিন্তু ইসরায়েলের অব্যাহত বোমাবর্ষণ, স্নাইপার ফায়ার ও আর্টিলারি হামলায় কাজ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
ইসরায়েলি অবরোধের ফলে খাদ্য, পানি, ওষুধ এবং জ্বালানির তীব্র সংকট সৃষ্টি হয়েছে। বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানিয়েছে, প্রতিদিন ৫০০-৬০০ ট্রাক খাদ্য দরকার, অথচ ইসরায়েলি ব্যারিকেডের কারণে তা পৌঁছাতে পারছে না। ইতোমধ্যে ৯৩ শিশু ও ৮২ জন প্রাপ্তবয়স্ক অপুষ্টিতে মৃত্যুবরণ করেছেন। ইসরায়েলি সৈন্যরা খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রেই গুলি চালিয়ে ৮৫৯ জনকে শহীদ করেছে।
"ইয়াহূদী ইসরায়েল একটি অবৈধ সন্ত্রাসী রাষ্ট্র। এদের স্থান দুনিয়ায় লাঞ্ছনা ও আখিরাতে জাহান্নামের সর্বনিম্ন স্তরে।"
— Al-Sultan Nawab Al Bangali
🕌 ইসরায়েলের জন্য Saltanat-e-Banglah-এর পক্ষ থেকে হুঁশিয়ারি:
হে দখলদার ইসরায়েল!
তুমিই যদি নারী-শিশুর রক্তে তোমার নাপাক অস্ত্র ভিজিয়ে রাখতে চাও, জেনে রাখো — তোমার উপর আল্লাহর গজব অত্যাসন্ন। তোমার প্রতিটি বোমার জবাব আসবে মুসলিমদের লানতের বজ্রাঘাতে।
আজকে দুনিয়ার আদালত বিকৃত হলেও মহান আল্লাহর আদালত ন্যায়বিচারহীন নয়। কিয়ামতের ময়দানে তোমরা শাস্তির সর্বোচ্চ স্তর ভোগ করবে, ইনশাআল্লাহ।
হে মুসলিম দেশগুলোর নেতৃবৃন্দ!
তোমাদের যদি ঈমান থাকে, তবে আজই ইসরায়েলি দূতাবাস বন্ধ
করো, তাদের পণ্য বর্জন করো, অবরোধ ভাঙার জন্য ত্রাণ পাঠাও।
তোমরা যদি চুপচাপ থাকো, ইহুদিদের বন্ধুতা করো, তাহলে জেনে রেখো:
"تم منهم" — তোমরাও তাদেরই অন্তর্ভুক্ত।
কিয়ামতের দিন তোমরাও পাকড়াও হবে এই রক্তের দায়ে।
হে বাংলার ঈমানদারগণ!
⏳ আর বসে থাকবার সময় নেই।
📢 গর্জে উঠো, লিখো, বলো, বর্জন করো,
প্রস্তুত হও —
গাজা একা নয়, আমরাও গাজার পাশে!
কোনো মন্তব্য নেই।